এই মুহূর্তে অর্থনীতি চাপের মুখে: গভর্নর
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ব্যাংকিং খাতের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, গ্যাস, জ্বালানি, নিত্যপণ্য সবকিছুই আমদানি নির্ভর। তাই এই মুহূর্তে অর্থনীতি চাপের মুখে আছে। বাজেটেও বলা হয়েছে মূল চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। এটা করা গেলে ২-৩ মাসের মধ্যে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে। এছাড়াও তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে সার্বিক পরিস্থিতি চিহ্নিত করে দশটি দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করে এর মনিটরিং বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স রুমে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গুড গভর্নেন্সে জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, কেউ ব্যাংক আইন অমান্য করলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। ম্যানেজমেন্টকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। এটা ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডকে বলা হয়েছে। ব্যাংকিং খাতে সার্বিক পরিস্থিতি চিহ্নিত করে দশটি দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করে এর মনিটরিং বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কে কোন ব্যাংকের মালিক সেটা দেখার বিষয় নয় উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, আমরা চাই সব ব্যাংক যেন কমপ্লায়েন্স মেনে চলে। কারণ ব্যাংকিং খাত শক্তিশালী হলে অর্থনীতি ভালো হবে। তাই বারবার বলছি, দেশের ভালোর জন্য যা করার তাই করব। করোনাকালে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ায় গত দুই বছরে ভালো করেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ দেশের সবাই ক্ষমতাধর। কোন ব্যাপারে একাই কেউ দায়ী না, সবাই দায়ী। ঋণ পুনঃতফসিলকরনের অনুমোদনের কাজ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের না। তাই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা ভালোভাবে কাজ করলে খেলাপি ঋণ কমবে। ব্যাংকের ৯ শতাংশ সুদের ব্যাপারে তিনি বলেন বেশি সুদ হলে বিনিয়োগ কমে যাবে। তাই আমাদের নয় শতাংশের সুদের হার রাখতে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কনজ্যুমার ঋণ কমিয়ে দিয়েছে। বিলাসী পণ্যের আমদানি কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। তার ফলও পাওয়া গেছে মে মাসের তুলনায় জুলাই মাসে আমদানি পরিমাণ কমেছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে এই গভর্নর বলেন, অর্থসচিব হিসেবে কাজ করে সামষ্টিক অর্থনীতির সবকিছু দেখা সম্ভব হয়েছে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব নিয়ে দেখছি ফাইনান্সিয়াল ডিফনেন্স বা আর্থিক গভীরতা। চাহিদার তুলনায় আমাদের টাকার সরবরাহ কম। এ জন্য আমাদের তারল্য সংকট হয়। অনেক দেশে টাকার পরিমাণ বেশি। রিজার্ভ কত তার ওপর ডলারের রেট নির্ভর করে না, তা নির্ভর করে অন্য কিছু অর্থাৎ চাহিদা সরবরাহের ওপর।