বাংলাদেশ উন্নয়নের উচ্চ শিখরে পৌচেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে: মোদি
দিল্লি প্রতিনিধি : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের উচ্চ শিখরে পৌচেছে। এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রজ্ঞা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণে। মঙ্গলবার নয়াদিল্লির ‘হায়দরাবাদ হাউস’-এ ভারতে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি প্রদানকালে নরেন্দ্র মোদি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় উঠেছে মন্তব্য করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন ও ব্যবসায়ী অংশীদার।
এসময় নরেন্দ্র মোদি বলেন, ৫৪ অভিন্ন নদীর পানির তথ্য উপাত্ত বিনিময়ে এক মত দুদেশ। একই সাথে নদী ব্যবস্থাপনাও কাজ করবে বাংলাদেশ-ভারত। এছাড়া এ অঞ্চলের সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ দমনেও কাজ করবে দু্ই দেশ। দুদেশের সর্ম্পকে প্রভাব পড়ে এমন কিছুই কোন দেশ করবে না। সম্পর্ক অক্ষুন্ন করতে দুই দেশেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মোদি বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আমি দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। দুই দেশের বাণিজ্য বাড়াতে আমরা দ্রুত দ্বিপক্ষীয় কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট নিয়ে আলোচনা শুরু করব।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আইটি, মহাকাশ এবং পারমানবিক শক্তির মতো ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা জলবায়ু পরিবর্তন ও সুন্দরবনকে সুরক্ষিত রাখতে সহযোগিতা বজায় রাখব। মোদি বলেন, আজ মৈত্রী থার্মাল পাওয়ার প্লান্টের প্রথম ইউনিটের উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে বিদ্যুতের যোগান বাড়বে। রূপসা নদীর উপর রেল সেতুর উদ্বোধন দুই দেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
বাংলাদেশের রেলওয়ে সিস্টেমের উন্নয়নের জন্য ভারত সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত এমন ৫৪টি যৌথ নদী রয়েছে। আজ কুশিয়ারা নদীর পানিবন্টন নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা সাক্ষর হয়েছে। এর ফলে ভারতের দক্ষিণ আসাম ও বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল লাভবান হবে।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে উভয় নেতার এই বৈঠক শেষ হয়। পরে তাদের উপস্থিতিতে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মাঝে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই শেষে হস্তান্তর করা হয়।এর আগে সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। আনুষ্ঠানিকতার পর শেখ হাসিনা রাজঘাট গান্ধী সমাধিস্থলে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরা শীর্ষ বৈঠক বসেন।