চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে পেয়ারুল ভাই- শিল্পপতি মেহেদী হাসান বিপ্লব
শফিক রহমান : চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের আগেই জনপ্রিয়তায় নির্বাচিত এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি বহুজাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জেএইচএম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ডিএমডি মেহেদী হাসান বিপ্লব। আসন্ন ভোট সম্পর্কে তিনি বললেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে
জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে পেয়ারুল ভাই, এক কথায় তাঁর কোনো বিকল্প নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে সব শ্রেনী পেশার মানুষের কাছে জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৭ অক্টোবর। এর আগেই ফটিকছড়ির মাটি ও মানুষের নেতা জননেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলামের পক্ষে মাঠে নেমেছে নিবেদিত নেতা কর্মীরা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২৫ সেপ্টেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় এবং ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পর্কে বিশিষ্ট শিল্পপতি বহুজাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জেএইচএম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ডিএমডি মেহেদী হাসান বিপ্লব আরো জানালেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এটিএম পেয়ারুল ইসলামের কোনো বিকল্প নেই। চট্টগ্রামের সব শ্রেনী পেশার মানুষের কাছে তিনি সমান জনপ্রিয়। তিনি সর্বদা মানুষের বিপদে পাশে থাকতেই পছন্দ করেন। আমি মনে করি পেয়ারুল ভাইয়ের জয় সুনিশ্চিত।
জানা গেছে, গত ১০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। তিনি ফটিকছড়ির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।
গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় তাঁকে দলীয় প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় চট্টগ্রামের সঙ্গে বাকি ৬০ জেলা পরিষদের প্রার্থীও চূড়ান্ত করা হয়।
এর আগে ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ সালাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জেলা পরিষদের নির্বাচনের আগে তিনি জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন এবং আগামী নির্বাচন চলাকালীন পর্যন্ত প্রশাসকের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকছেন।
জানা গেছে, এবার ক্ষমতাসীন দল থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রশাসক এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক মো. মাঈনুদ্দিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি লায়ন শামসুল হক, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইদ্রিস, রূপালী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাংবাদিক আবু সুফিয়ান, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা মঞ্চের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের সাবেক মহাসচিব আবুল হাশেম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা মো. ওসমান গণি চৌধুরী।