গুলশান বনানীর স্পা সেন্টারে গ্রেফতার ২৪ টুনাইনটির জামিন
কোর্ট রিপোর্টার : রাজধানীর গুলশান বনানীর অভিজাত এলাকায় স্পা সেন্টারের আড়ালে জমজমাট ২৯০ (টুনাইনটি) বা পতিতাবৃত্তি ব্যবসা চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। অবৈধ পতিতাবৃত্তির এই ব্যবসায় জড়িত অনেক রথি মহারথিরা। এরা বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের ম্যানেজ করে চলাচ্ছিল এ ব্যবসা। কিন্তু এবার লেনদেনে গরমিল হওযায় অভিযান চালায় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। যদিও পুলিশ মানবপাচার আইনে মামলা দিয়েছিল কিন্তু আদালত তাদের জামিন দিয়েছে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশান থানা পুলিশ মানবপাচার আইনে করা পৃথক তিন মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। আবেদনে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নূরুল হুদা চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন।
জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন- গুলশানের ‘অল দ্যা বেস্ট স্পা’ সেন্টারের শাহিনুর আক্তার পায়েল, আয়েশা আক্তার অবনী ওরফে সংগীতা, নুরুন্নাহার, খালেদা আক্তার, অনন্যা আক্তার, নুরজাহান আক্তার ওরফে নোহা, সায়েমা আক্তার সাথি ওরফে তিশা, শম্পা আক্তার, শান্তা আক্তার, মহিবুল হক ভূঁইয়া ও শাহজাহান। ‘হ্যাপি এন্ড থাই স্পা’ সেন্টারের-শহিদুল্লাহ সুমন, রিপন মিয়া, মোছা. মরিয়ম আক্তার, মোছা. টুম্পা খাতুন ইরা, মোছা. তাশফিয়া আক্তার তানহা, আফরোজা আক্তার, রাইসা ওরফে ইতি এবং সাদিয়া আফরিন উর্মি।
‘লোটাস থাই স্পা’ সেন্টারের-নুরে আলম, পারভীন আক্তার ওরফে ইভা, বিউটি আক্তার, সোনিয়া আক্তার ও শ্রাবনী আক্তার।আসামিদের মধ্যে প্রথম ১১ জন এক মামলার আসামি, পরের আট জন আরেক মামলার এবং বাকি ৫ জন অপর একটি মামলার আসামি। জানা গেছে, কিছুদিন ধরে স্পা সেন্টারের আড়ালে সেখানে অনৈতিক কার্যকলাপ চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৯ অক্টোবর রাতে গুলশান-১ ও ২ নম্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।