আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করেন না শেখ হাসিনা-যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রদূতকে কাদের
বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশের নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, ‘বন্ধুত্বটা নষ্ট করবেন না। আমরা আপনাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই।’কারো ফরমায়েশ, কারো হস্তক্ষেপ শেখ হাসিনা শুনবেন না। তিনি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করেন না’ বলেও মন্তব্য করেন কাদের।’
আজ শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের প্রথম প্রস্তুতি সভায় এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।কাদের বলেন, ‘আমরা ৬ জানুয়ারি আমেরিকার চেহারা দেখেছি গণতন্ত্রের। বলছে, ইলেকশন স্টোলেন। আজ পর্যন্ত এক পক্ষ রেজাল্ট মেনে নেয়নি। নির্বাচনী জালিয়াতি বাংলাদেশেই শুধু বলা হয় না, এ শব্দ এখন আমেরিকায় ব্যবহার হচ্ছে। ৫টি লোক মারা গেছে। কংগ্রেস আক্রান্ত, ন্যান্সি পেলোসি কীভাবে লুকিয়ে ছিল সে দৃশ্য আমরা দেখেছি।’
‘বড় বড় কথা বলেন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত…বন্ধুত্বটা নষ্ট করবেন না। আমরা আপনাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। আমাদের অতীতের অনেক বেদনা আছে, পঁচাত্তরে, একাত্তরে। তারপরও আমরা বন্ধুত্ব চাই। কিন্তু বন্ধুত্ব এ রকম করলে তো ফাটল ধরবে। সেটাতে কারো লাভ নেই। সবারই লেনদেন আমাদের আছে। অহেতুক কেন এসব কথা বলছেন,’ বলেন কাদের।
তিনি আরও বলেন, ‘ম্যাস শুটিং হচ্ছে সপ্তাহে অন্তত দুটি। একেকটাতে ৫ জন, ১০ জন। ১৯টি শিশু একটি ম্যাস শুটিংয়ে মারা গেছে। আপনারা মানবাধিকারের কথা বলেন! আর পুলিশকে ধরা হয়েছে, তারা যথা সময়ে সিকিউরিটি দেয়নি। দিলে এ ঘটনা ঘটতো না। আমাদের আদালতপাড়া নিয়ে কথা বলেন, আপনাদের ওখানে কী হয়!’
‘জার্মানিতে ক্যু করার চক্রান্ত করছে। কারোরই ভেতরের খবর অত সুখকর না। যুক্তরাজ্যে প্রধনমন্ত্রী বদল হয়ে গেল। আমরা তো সেই তুলনায় অনেক ভালো আছি। যে কেউ ইন্টারফেয়ার করার দরকার নেই। আপনাদের এত কিছু হচ্ছে, আমরা তো ইন্টারফেয়ার করিনি! ব্রিটেনে দুজন এমপি আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছে। সবাই নিজের চেহারাটা আগে দেখে, অন্যেরটা দেখুন’—বলেন কাদের।