দেশ বিরোধীচক্র নানা ষড়যন্ত্র করছে এদের রুখতে হবে-পুলিশ সপ্তাহের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি : জনগণের আস্থা অর্জন করে পুলিশকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশবিরোধী একটি চক্র নানা ষড়যন্ত্র করছে। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ কেউ বিদেশে বসে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। দেশের মানুষকে উসকানি দিচ্ছে। সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এদের অপতৎপরতা ও নাশকতা আরও বাড়তে পারে। এসব অপকর্ম রুখতে আপনাদের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে।
বিএনপি-জামায়াত পুলিশের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে, আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। আর যাতে এ ধরণের ঘটনা ঘটতে না পারে সেজন্য পুলিশ বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ প্যারেড মাঠে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো প্রতিবন্ধকতাই দেশের উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, এর বিরুদ্ধেও পুলিশকে সজাগ থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় এসে পুলিশের জন্য বাজেট বৃদ্ধি করাসহ সব ব্যবস্থা নিয়েছি। একই সঙ্গে পুলিশের আধুনিকায়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। পুলিশকে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী খানিকটা রসিকতা করে বলেন, পুলিশের বাজেট ৪০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটি করেছিলাম। এখন তো আরো বেশি, তা আর বলবো না, অন্যরা শুনলে হিংসা করবে।
শেখ হাসিনা জানান, সাইবার অপরাধ বড়ো অপরাধ। এই অপরাধ দমনে আলাদা পুলিশ ইউনিট গঠন করা হয়েছে।
সরকার প্রধান বলেন, জনগণের আস্থা অর্জন করা সব বাহিনীর দায়িত্ব। এই আস্থা অর্জন পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের পুলিশ বাহিনীও স্মার্ট হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো প্রতিবন্ধকতা যেন উন্নয়নের পথে বাধা তৈরি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশ সব সময় মানুষের পাশে আছে। যে কোনো দুর্যোগেই পুলিশ পাশে থাকে। পাশাপাশি মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগেও পুলিশ ভূমিকা রাখে। মানুষের জানমাল বাঁচাবার জন্য নিজের জীবনকেও উৎসর্গ করে। যেকোনো ঝুঁকি নিতে পিছপা হয় না। এটাই হচ্ছে পুলিশের বড় কাজ যা পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে করে যাচ্ছে।