ডাকাতকে বিশ্বাস যায় কিন্তু বিএনপিকে না -এস এম কামাল হোসেন
স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাই নবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, ডাকাতকে বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু বিএনপিকে বিশ্বাস করা যায় না। সুযোগ পেলেই তারা ছোবল মারবে। আওয়ামী লীগের কর্মীরা নৌকার পক্ষে কাজ না করলে গুনাহ হবে বলেও মন্তব্য করেছেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। আজ শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে অনুষ্ঠেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল এবং ১ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুটি সংসদীয় আসনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করার লক্ষ্যে প্রতিনিধি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের শহীদ মিনারের সামনে এ কর্মসূচি হয়। উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের জেতানোর আহ্বান জানিয়ে এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘গ্রুপিং বুঝি না। নৌকাকে জেতাতেই হবে।
নৌকা হারলে বাংলাদেশ হারবে। মুক্তিযুদ্ধ হারবে। নৌকার মর্যাদা রক্ষা করতে না পারলে আপনাদের নেতৃত্বে থাকার দরকার নেই। নামাজ না পড়লে যেমন গুনাহ হয়, তেমনি আওয়ামী লীগের কর্মীরা নৌকার পক্ষে কাজ না করলে গুনাহ হবে।’ তিনি বলেন, ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারবে না।
এস এম কামাল হোসেন নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে আরও বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না থাকলে আপন কেমন থাকবেন, একবার চিন্তা করে দেখেছেন। বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রেখে লাভ নেই। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বিশ্বাস করা যায়, ডাকাতকে বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু বিএনপিকে বিশ্বাস করা যায় না। সুযোগ পেলেই তারা ছোবল মারবে।বিএনপির সমালোচনা করে কামাল হোসেন বলেন, রাষ্ট্র মেরামত করে কোন রাষ্ট্র বানাতে চায় বিএনপি? তাদের রাষ্ট্র মেরামত হচ্ছে বাংলাদেশকে পাকিস্তান রাষ্ট্র বানানো।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) আসনে দলীয় প্রার্থী মু. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে দলীয় প্রার্থী আব্দুল ওদুদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন, শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি প্রমুখ।
দলীয় প্রার্থী আব্দুল ওদুদ বলেন, ‘চলার পথে ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করবেন। বিএনপির দুজন সংসদ সদস্য চার বছরে কোনো উন্নয়ন করেনি। আমরা এক বছরে তা পূরণ করার চেষ্টা করব।’ তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জে অর্থনৈতিক অঞ্চল, জেলা হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রূপান্তর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ রেললাইন সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি দেন।
আরেক প্রার্থী মু. জিয়াউর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ থাকলে নৌকা ঠেকে যায়। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। আওয়ামী লীগ করবেন আর নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করবেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না।