প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়ায় যাচ্ছেন কাল-৪ বছর পর
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : চার বছর পর কোটালীপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী পদ্মা বহুমুখী সেতুর কারণে বদলে যেতে শুরু করেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর চালচিত্র। মূল সড়কের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে আঞ্চলিক সড়ক ও সেতু। ফলে সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে খাল-বিলের জেলাগুলোতেও। মন পরিস্থিতিতে চার বছর পর শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দুই দিনের এই সফরে প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জে ৪৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এরমধ্যে আছে ৪৪টি নবনির্মিত প্রকল্পের উদ্বোধন ও পাঁচ প্রকল্পের নির্মাণকাজের ভিত্তি স্থাপন।পঁচাত্তর পরবর্তী ২৯ বছর শাসক গোষ্ঠীর বৈষম্যের শিকার হয় দেশের দক্ষিণাঞ্চল। বিশেষ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর এলাকা বলে গোপালগঞ্জ জেলায় উন্নয়নের কোন কাজ হয়নি। সেই জেলা এক দশকে অনেকটাই বদলে গেছে। উন্নয়নের এ ধারা ত্বরান্বিত হয়েছে পদ্মা সেতু চালুর পর।
দিন বদলের এই রং অনেকটাই উজ্জ্বল বঙ্গবন্ধুর নিজ জেলা গোপালগঞ্জে। খাল-বিল অধ্যুষিত এ অঞ্চলে শোভা পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সব সড়ক আর সেতু। গোটা জেলাতেই ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে এবং আরও প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। দীর্ঘ চার বছর পর আওয়ামী লীগের সভাপতি আসছেন নিজ নির্বাচনী এলাকার কোটালিপাড়ায়। সেখানে তালিমপুর তেলিহাটি হাই স্কুল মাঠের জনসভায় শনিবার ভাষণ দেবেন তিনি।
পরে বিকেলে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।এরিমধ্যে তালিমপুর তালিহাটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রস্তুত জনসভাস্থল। আয়োজকরা বলছেন, বিপুল মানুষের সমাগম ঘটবে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায়। তার সফর উপলক্ষে কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া এলাকায় বইছে উৎসবের আমেজ আর সাজ সাজ রব।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দীর্ঘ চার বছর পর প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়ায় যাচ্ছেন। যে কারণে তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে এক নজর দেখার অপেক্ষা লাখো জনতার।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, কোটালীপাড়ার জনসভা স্মরণকালের সেরা জনসভা হবে। জনসভা ছাড়িয়ে আরও কয়েক কিলোমিটার ছাড়িয়ে যাবে জনতার ঢল। জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সফল করতে স্থানীয় প্রশাসন ও দলীয় নেতা-কর্মীরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গড়ে তোলা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এর আগে গত জাতীয় নির্বাচনের আগে জনসভায় অংশ নিতে কোটালিপাড়া আসেন শেখ হাসিনা।