বসুন্ধরা টিস্যু’র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন চঞ্চল চৌধুরী
দীর্ঘ সময় ধরে নানান রকম অশুদ্ধতার বিরুদ্ধে-
বিনোদন রিপোর্টার : তারকা অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী এবার যোগ দিয়েছেন বসুন্ধরা টিস্যু’র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে। ২ মার্চ ২০২৩, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত সানফ্লাওয়ার রেস্টুরেন্টে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়।
চঞ্চল চৌধুরী’র সাথে এই চুক্তিপত্রে বসুন্ধরা গ্রুপ-এর পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মেজর মোহসিনুল করিম (অব:), ইনচার্জ , বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশন, বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড-এর হেড অফ মার্কেটিং মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, মোঃ তৌফিক হাসান হেড অফ ডিভিশন, মার্কেটিং এবং বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, কাজী ইমদাদুল হক, জেনারেল ম্যানেজার, সেলস, টিস্যু ও হাইজিন, মার্কেটিং ম্যানেজার ইমরানুল কবির-সহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বসুন্ধরা টিস্যু’র কমিউনিকেশন এজেন্সি এমপাওয়ার-এর প্রতিনিধিরা।
চঞ্চল চৌধুরী বাংলাদেশের একজন প্রতিভাবান ও জনপ্রিয় অভিনেতা, যিনি এই সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও কাজ করে চলেছেন। বসুন্ধরা টিস্যু’র কার্যক্রমের সঙ্গে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে জড়িত থাকার মর্মে এ-পর্যায়ে এক বছরের জন্য এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলো। অস্বাস্থ্যকর চর্চা-সহ যে-কোনোরকম অশুদ্ধ চিন্তাভাবনার বিরুদ্ধে ছাড় না দেওয়ার অব্যাহত অভিযানে ব্র্যান্ডটির বেশ কিছু কাজে সরাসরি অংশ থাকবে তার।
বসুন্ধরা গ্রুপ-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা খুবই আশাবাদী, যে বসুন্ধরা টিস্যু ব্র্যান্ডের সাথে সবার ভালোবাসার এই অভিনয়শিল্পীর যোগদান আমাদের ক্রেতাসাধারণ-সহ দেশের আপামর মানুষের কাছে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ধারাবাহিকতায় আমাদেরকে আরো সহায়তা করবে।” তিনি আরো বলেন, “বসুন্ধরা টিস্যু দীর্ঘ সময় ধরে নানান রকম অশুদ্ধতার বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। সেখানে, আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার একটি বড় আর বিশেষ ক্ষেত্র হচ্ছে অটিজমগ্রস্ত শিশুদের উন্নয়নে কাজ করা।
সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকেই অটিজম সম্পর্কে না জেনে তাদের বিরূপ ধারণা থেকে অটিজম-আক্রান্ত শিশু ও তাদের অভিভাবকদের সাথে বন্ধুভাবাপন্ন কিংবা স্বাভাবিক আচরণ করতে ব্যর্থ হন। তাই তাদের জীবনকে একটু সহজ করতে এমন শিশুদেরকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসবার পাশাপাশি, এখন আমরা কাজ করছি সাধারণ সব নাগরিককে এই বিষয়টি সম্পর্কে আরো আলোকিত ও সচেতন করতে। এমনকি, ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসুন্ধরা টিস্যু’র প্রতি প্যাক বিক্রির টাকা থেকে ১ টাকা যোগ হয় বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের কাজে, অটিজমগ্রস্ত শিশুদের সার্বিক উন্নয়নে। চঞ্চল চৌধুরী’র মতো একজন বহুপরিচিত ব্যক্তিত্ব আমাদের সাথে যুক্ত হওয়ায় অশুদ্ধতার বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াই আরো নতুন ও কার্যকর মাত্রা পাবে বলে আমার বিশ্বাস।