ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরে বোয়ালমারীতে বিদেশি পিস্তলসহ প্রকাশ্যে এসে ভাইরাল হওয়া সেই মৎস্যজীবী লীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি জেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান পরশ শিকদার। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দিনগত রাতে জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক আবদুস সোবহান ও সদস্যসচিব ফরিদ মিয়া স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।অতি সম্প্রতি বোয়ালমারী উপজেলায় একজন ছাত্রলীগ নেতাসহ পরপর তিনজন এভাবে প্রকাশ্যে অস্ত্রসহ ছবি প্রকাশের ঘটনায় অস্বস্তি ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের মাঝেও। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, এসব ঘটনায় উদ্বেগ ছড়াচ্ছে জনমনে। তবে একের পর এক এই অস্ত্রবাজির ছবি থামছে না।
জেলা মৎস্যজীবী লীগের নোটিশে জানানো হয়, আছাদুজ্জামান পরশ সিকদারের আগ্নেয়াস্ত্রসহ একটি ছবি ইতিমধ্যে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এটি সংগঠনের গঠনতন্ত্রবিরোধী কার্যক্রম। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তাই তাকে সংগঠনের কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হলো।
এদিকে, পিস্তল হাতে ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর মৎস্যজীবী লীগ নেতা পরশ শিকদার জানিয়েছিলেন, তিনি দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির শিকার। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মৃধা পিকুলের রাজনীতি না করায় তার এই ছবিটি ফেসবুকে ছেড়ে তাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, পাঁচ বছর আগে শাহজাহান মৃধা পিকুলের ভাগ্নে পৌর যুবলীগের নেতা মিনহাজুল আবেদিন চয়নের মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ছবিটি তোলা। চয়নের একজন পরিচিত ব্যক্তি বাড়ির পেছনের খামারে আসা বড় পাখির উপদ্রবের কারণে একটি দামি এয়ারগান কিনতে যাওয়ার সময় চয়নই আমাকে তার গাড়িতে করে ওই বন্দুকের শোরুমে নিয়ে গিয়েছিল। সেই এয়ারগান ক্রেতার বাড়ি বেনাপোল বলে জানালেও তার নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি।
পরশ সিকদার বলেন, বন্দুকের শোরুমে তিনি বসে ছিলেন। তখন ডিসপ্লে করে রাখা পিস্তলটি দেখিয়ে চয়ন আমাকে বলে, ‘মামা এটা একটু উঁচু করে ধরতো, একটা ছবি তুলি।’ এরপর সে মোবাইলে ছবিগুলো তোলে। আরও অনেক ছবি সে তুলেছিল। তবে এতোদিন এসব ছবি কোথায় কার কাছে এতোদিন ছিল তাও জানা ছিল না। বুধবার (২৬ এপ্রিল) রাতেই প্রথমে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মোর্তোজা তমাল আমাকে ফোন করে এই ছবিটি দেখেছে বলে প্রথম জানায়। ঘটনা সম্পর্কে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল ওয়াহাব জানিয়েছেন, ফেসবুকে পোস্ট কার ছবি দুটি পুলিশের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।