আইএমএফের শর্তে রিজার্ভ বাড়ানোই বড় চ্যালেঞ্জ:বিবি
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বাড়ানোই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)। এ লক্ষ্য অর্জন না হলেও, ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পেতে সমস্যা হবে না বলে জানান ব্যাংকটির মুখপাত্র মেজবাউল হক। রোববার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, আগামী নির্বাচনও বড় চ্যালেঞ্জ। মুখপাত্রের দাবি, আর্থিক খাতের সংস্কারে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপে সন্তুষ্ট আইএমএফ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, গত বৃহস্পতিবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল একত্রিশ বিলিয়ন ডলারের কিছু কম। এ থেকে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন আকুর বিল পরিশোধ হয়েছে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার। সোমবার নাগাদ রিজার্ভের পরিমাণ নেমে আসবে ২৯ বিলিয়নে। আইএমএফের হিসাবে, এর মধ্যে নিট রিজার্ভ প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার। ঋণের শর্ত হিসেবে, জুনের মধ্যে নিট রিজার্ভ সাড়ে ২৪ বিলিয়ন করার শর্ত দিয়েছে সংস্থাটি। যা পূরণে চ্যালেঞ্জ দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, আইএমএফের ঋণের বেশিরভাগ শর্ত পূরণে সঠিক পথে আছে বাংলাদেশ। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার, ঋণের সুদহার, রিজার্ভের হিসাবসহ আরও কিছু বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে আগামী মুদ্রানীতিতে।
তিনি বলেন, রপ্তানির একশ ৪০ কোটি ডলার এখনো ফেরত আসেনি। যার মধ্যে ভুয়া রপ্তানি সাড়ে ১২ কোটি ডলার। ঋণ দেওয়ার সময় সমঝোতাকালে আইএমফের চাওয়া অনুযায়ী পরবর্তী মুদ্রানীতিতেই সুদহার নির্ধারণে করিডোর চালুর ঘোষণা দেওয়া, বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ গণনার হিসাবে বদল আনা এবং বিদেশি মুদ্রা লেনদেনে একক হার নির্ধারণের কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, রিজার্ভ হিসাব করা ও টার্গেটে পৌঁছাতে পারার একটা ইস্যু আছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে করোনা মহামারী দেখেছে, তার একটি চাপ আছে, মূল্যস্ফীতি ও ইউক্রেইন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে দেশের অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ তো রয়েছেও। এর মধ্যে শুধু করোনার চ্যালেঞ্জটি নেই। তার সঙ্গে আগামী জাতীয় নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জ।
এদিকে, মূল্যস্ফীতি বাড়ার পাশপাশি প্রবৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমতে থাকায় বাংলাদেশকে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশ সফর শেষে সংস্থাটি বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মূল্যস্ফীতির চাপ, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং প্রধান বাণিজ্য অংশীদার দেশগুলোর অর্থনীতির ধীরগতি, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং টাকার মানের ওপর প্রভাব ফেলবে।