বিশেষ প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশি বিদেশি যত চাপই আসুক, দেশের মানুষ কোন চাপের কাছে মাথা নত করবে না। আওয়ামী লীগই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার সুরক্ষিত করবে। বিদেশিদের পরামর্শে লাফিয়ে লাভ নেই। তারা ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। বুধবার বিকেলে, ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অনির্বাচিত কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। উচ্চ আদালতের এই রায় মানুষকে সুরক্ষা দিয়েছে। যার ভোট সে দেবে।
মানুষ ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ কখনো পরাজিত হয় নি বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে।’
কোন গণতান্ত্রিক ধারায় বিএনপির জন্ম-এ প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়া ক্ষমতায় এসে সংবিধানের কবর রচনা করে। উর্দি পড়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। আর উর্দি খুলে রাজনীতি করার খায়েসে হ্যাঁ না ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছে। হত্যার রাজনীতি, ভোট কারচুপি, ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু করে জিয়াউর রহমান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তো ভোট চোর না৷ তারা তো ভোট ডাকাত৷ তারা গণতন্ত্রও জানে না, তাদের গণতন্ত্র কারফিউ গণতন্ত্র৷ বিএনপি জ্বালাও পোড়াও করলে আমেরিকার ভিসা পাবে না। যত আন্দোলন সংগ্রাম করুক, সমস্যা নাই। বাইরের কোনো শক্তি বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি মনে করে কেউ তাদের নাগরদোলায় করে ক্ষমতায় বসাবে, কিন্তু বসাবে না। বাইরেও কেউ ক্ষমতায় বসায় না, ব্যবহার করে মাত্র। ক্ষমতায় বসায় একমাত্র জনগণ। বিএনপির দুঃশাসন, সন্ত্রাস দেশের মানুষ ভুলে যায়নি বলেও মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারচুপির নির্বাচন বিএনপির সৃষ্টি।
তিনি বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি আর ভুয়া ভোটার তৈরি করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা এবং দুই দুইবার ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়ার বিদায় নিতে হয়েছে। বিএনপি আজকে ভোটের কথা বলে, ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কত ভোট পেয়েছিলো।‘শুনে আমার হাসি পায়, ওরা আবার গণতন্ত্রের কথা কয়। গণতন্ত্রের অধিকার, ভোটের অধিকার সুরক্ষিত করেছে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ ভোটের অধিকার নিয়ে এখন সচেতন। সে সচেতনতা সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ। ভোটের অধিকার কেউ কেড়ে নিলে মানুষ তাদের ছেড়ে দেয় না, খালেদা জিয়া তার প্রমাণ।