চালকের মোবাইলে কথা বলার খেসারতে ১৭ যাত্রী নিহত
ঝালকাঠি প্রতিনিধি : বাস চালকের মোবাইলে কথা বলার খেসারত দিল নিরীহ যাত্রীরা। ইতিমধ্যে ১৭ জন যাত্রীর করুণ মৃত্যু হয়েছে। আরো বেশ ক’জনের অবস্থা আশংকাজনক। প্রত্যক্ষদর্শীরা দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে জানান, যাত্রীবাহী বাস পুকুরে পড়ে শিশুসহ ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩০ জন। শনিবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের কাছে ছত্রকান্দা মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।জেলা সিভিল সার্জন অফিসার ডা. জহিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসচালক ছত্রকান্দা এলাকায় মোবাইল ফোনে কথা বলছিল আর গাড়ি চালাচ্ছিল।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান সানি বলেন, এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ আমরা পেয়েছি। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দুর্ঘটনার আপডেট মুহূর্তে পরিবর্তন হচ্ছে এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। গুরুতর আহতাবস্থায় আরও বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ভান্ডারিয়া থেকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে বরিশালের দিকে যাচ্ছিল একটি যাত্রীবাহী বাস। পথে সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় পৌঁছালে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনের মোড় ঘুরতেই চাকা ফেটে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এ সময় ২৫ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হলেও এর মধ্যে ১৭ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি। নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে জানান, যাত্রীবাহী বাসটি উল্টে পুকুরে পড়ে গেলে এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে মৃত উদ্ধার করা হয়েছে। আহত আরও কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যেও মুমূর্ষু অবস্থায় কয়েকজনকে দেখা গেছে। বাসের ভেতরে কতজন যাত্রী আটকে আছেন, তা ধারণা করা যাচ্ছে না। গাড়িটি উদ্ধারের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
উদ্ধারকাজ চলমান রেখেছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। এই ঘটনায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরিশাল রেঞ্জের উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম আক্তারুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার আফ্রুজুল হক টুটুল, জেলা সিভিল সার্জন অফিসার ডা. জহিরুল ইসলাম।