নেতার কারিশমা-সরকারি চাল বস্তা পাল্টিয়ে বিক্রি
লালমনিরহাট প্রতিনিধি : একেই বলে নেতার কারিশমা! সরকারি চাল বস্তা পাল্টিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছেন গুদাম থেকে। গুদাম মালিক শিকার করলেও ইউএনও’র তল্লাশিকালে গুদাম থেকে সব হাওয়া!
জানা গেছে, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার সরকারি চালের বস্তা পরিবর্তন করে কালো বাজারে বিক্রি করার অভিযোগের ঘটনায় এক চালের গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও। শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার চৌধুরী মোড় এলাকার মেসার্স অলিয়ার ট্রেডার্সের গুদামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে এ সময় গোডাউন তল্লাসি করে কিছুই পাওয়া যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভিজিডি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এসব চাল সুফল ভোগীদের কাছে বিক্রি না করে কৌশলে কালো বাজারে বিক্রি করে অসাধু ব্যবসায়ী। এ ক্ষেত্রে তারা খাদ্য অধিদফতরের সীলমোহর যুক্ত বস্তা পরিবর্তন করে অন্য চাল আড়তের সীলমোহরের বস্তায় প্যাকেট করে বাজারে সরবরাহ করছে। এ ক্ষেত্রে একদিকে যেমন সরকারি সম্পদ কালোবাজারে বিক্রি করছে। একই ভাবে নিম্নমানের চালকে গুটি স্বর্ণাসহ বিভিন্ন নামে ভুয়া সীলমোহর দিয়ে ক্রেতাদের প্রতারিত করছে অসাধু ব্যবসায়ীর এ চক্রটি।
এ দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিরাম চৌধুরী মোড় এলাকার মেসার্স অলিয়ার ট্রেডার্সের গুদামে গিয়ে দেখা যায় শত শত সরকারি চালের বস্তা। তা পরিবর্তন করে ২৫ কেজি ওজনের দিনাজপুরের চিতা বাঘ মার্ক গুটি স্বর্ণা নামে প্যাকেট করা হচ্ছে। প্যাকেট শেষ হলে দ্রুতই তা চলে যাচ্ছে জেলার সকল বাজারে।
মেসার্স অলিয়ার ট্রেডার্সের মালিক অলিয়ার রহমান বলেন, সরকারি এসব চাল কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান কাঞ্চন ভাইয়ের। আমি শুধু নই, বেশ কিছু গুদামে দেয়া আছে এসব চাল। প্রায় দুইশত মে. টন চাল দিয়েছিল। আমরা শুধু বস্তা পরিবর্তন করে ৩০ কেজির স্থলে ২৫ কেজি করে পাঠিয়ে দেই। তিনি কোথায় কি ভাবে বিক্রি করেন আমি জানি না।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান কাঞ্চন বলেন, এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। গুদাম মালিককে আমি কোনোভাবেই চিনি না। এর সাথে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন।এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমাম বলেন, বিষয়টি জানার পর ওই গুদাম গুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় কোন সরকারি চাল ও বস্তা পাওয়া যায়নি।