জাতীয়

ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড় দিনাজপুরে শীতার্তের কম্বল দিল বসুন্ধরা

ডেস্ক রিপোর্ট : ঠাকুরগাঁও জেলার জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কালের কণ্ঠ শুভসংঘের জেলা শাখার আয়োজনে এবং বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় ‘৭১ এর শহীদ পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ৩০০ কম্বল উপহার দেওয়া হয়েছে। কম্বল পেয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের ৮০ বছরের রসমনি বলেন, হামরা ৭১ যুদ্ধাহত সবাইকে মারে ফেলছে, অনেক কষ্টে দিন পার করছি। কেউ কিছু দেয় নাই, এইবার হামক কম্বল দিছে বসুন্ধরা।

ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কালের কণ্ঠ শুভসংঘের জেলা শাখার আয়োজনে এবং বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় অসহায় হতদরিদ্রদের মধ্যে কম্বল দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে শীতার্তদের মাঝে ৩০০ কম্বল বিতরণ করা হয়।কম্বল পেয়ে ৯ বছরের ছোট নাফি বলে, আমার বাবারে কইতে কইতে নতুন কম্বল আই না দেয় না। এইবার নতুন কম্বল গায়ে দিয়ে রাতে ঘুমাইতে পারবো।

দিনাজপুর জেলায় অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে ৩০০ কম্বল বিতরণ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। শুক্রবার বিকেল ৩টায় দিনাজপুর একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ দিনাজপুর জেলা শাখা এ আয়োজন করে।কম্বল পেয়ে ৬০ বছরের মিনা বেগম বলেন,এই শীতত কম্বলখান পায়া মোক খুব ভালো লাগিছে।৭০ বছরের কালাম মিয়া বলেন, মোক কম্বল টা দিছে, বসুন্ধরার মালিক ভেল্লাদিন বাচে থাকুক।ঠাকুরগাঁও জেলার বড় বালিয়া আদিবাসী পাড়ার সাওতাল সম্প্রদায়ের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ জেলা শাখার আয়োজনে ১০০ কম্বল বিতরণ করা হয়।

কম্বল পেয়ে ৪৫ বছরের ধানী সরেন বলেন, কম্বল ঞিয়াম কেতেজ আডি রেসক্য (কম্বল পেয়ে আমি খুব খুশি)।
সবাই যখন বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎযাপনে ব্যস্ত, ঠিক তখন পঞ্চগড়ের শুভসংঘের বন্ধুরা বেলিয়ে পড়েছেন শীতবস্ত্র হাতে নিয়ে। গন্তব্য পঞ্চগড় থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরের তেঁতুলিয়া উপজেলার খয়খাটপাড়া নুরানিয়া ও হাফেজিয়া মাদরাসা। হঠাৎ শুভসংঘের সদস্যদের হাতে কম্বল দেখে বিস্মিত মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে তেঁতুলিয়া উপজেলার খয়খাটপাড়া নুরানিয়া ও হাফেজিয়া মাদরাসার ১০০ জন শিক্ষার্থীর হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেয়া হয়। বিজয়ের দিনে হাতে নতুন শীতবস্ত্র হাতে পেয়ে খুশি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।
এতিম শিক্ষার্থী আল আমিন বলে, বিজয় দিবসে হঠাৎ শুভসংঘের উপহার কম্বল পেয়ে আমরা অবাক হয়েছি। আমরা শুভসংঘের এই উপহার পেয়ে খুব খুশি।

মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইউসুফ আলী বলেন, শুভসংঘ বরাবরই ভালো কাজ করে আসছে। এর আগেও করোনার দুঃসময়ে তারা এতিম শিশুদের হাতে ত্রাণ তুলে দিয়েছে। এবার স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন নিয়ে যখন সবাই যে যার মতো উৎসব আয়োজনে ব্যস্ত ঠিক তখন শুভসংঘের তরুণরা এতিম ও হাজেজিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীর জন্য কম্বল নিয়ে এসেছে। এতিম ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য এমন ভালোবাসা আমাদের মুগ্ধ করেছে। আমাদের প্রত্যাশা তারা সব সময় ভালো কাজে সবার পাশে থাকবে।পঞ্চগড় শুভসংঘের সভাপতি ফিরোজ আলম রাজিব বলেন, আমরা বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলার ২ হাজার মানুষের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দিচ্ছি। এই শীতে পঞ্চগড়ের নিম্ন আয়ের মানুষকে শীতে কিছুটা উষ্ণতা দিতে পেরে আমরাও খুশি। সেই সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বসুন্ধরা গ্রুপের সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয়ের প্রতি। আমাদের ভালো কাজে তিনি সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রেখেছেন।সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান ।

সংশ্লিষ্ট খবর

Leave a Reply

Back to top button