মদে প্রধানমন্ত্রীত্ব নরবড়ে
![](https://dainiksottokothaprotidin.com/wp-content/uploads/2022/01/Boris.007-780x470.png)
আন্তজার্তিক ডেস্ক রিপোর্টার : মদে প্রধানমন্ত্রীত্ব নরবড়ে হয়ে যাচ্ছে বরিসের। একবার নয় কয়েকবার তিনি মদের পার্টি করেছেন সরকারি বাসভবনে। এনিয়ে উত্তাপ চরমে। যে কোনে সময় মন্ত্রীত্ব যেতে পারে। অবস্থা এমনই।
করোনার বিধিনিষেধ ভেঙ্গে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে আয়োজিত পার্টিতে যোগদানের বিষয় স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার পর আবারো একই অভিযোগ উঠলো বরিসের বিরুদ্ধে।প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যের আগের সন্ধ্যায় বরিস সরকার আরও দুটি মদের পার্টি আয়োজন করে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পার্টিতে নিজে উপস্থিত ছিলেন না জানিয়ে আয়োজনের অনুমতি দেওয়ায় রানি এলিজাবেথের কাছে ক্ষমা চেয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথেই কি এগুচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন? শুধু বিরোধী দলই নয়, তার বিরুদ্ধে চাপ আসছে খোদ নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টি থেকেই।লকডাউনের মধ্যে সরকারি বাসভবনে মদের পার্টি করে তোপের মুখে পড়েন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস। ২০২০ সালের মে মাসে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে আয়োজিত সেই মদের পার্টিতে অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করে পার্লামেন্টে ক্ষমাও চান তিনি। কিন্তু বিপত্তি যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বরিসের। এবার আরো দুটি মদের পার্টি আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথের স্বামী ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যের আগের সন্ধ্যায় গতবছর ১৬ এপ্রিল বরিসের সরকারি বাসভবনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে আরো দুটি পার্টি আয়োজন করা হয়েছিলো বলে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে দ্য টেলিগ্রাফ। এতে অন্তত ৩০ জন অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। তবে পার্টি আয়োজিত হলেও বরিস ঐ পার্টিতে ছিলেন না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।লকডাউনে পার্টির অনুমতি দেওয়ায় রানি এলিজাবেথের কাছে ক্ষমা চেয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়।এ অবস্থায় বরিসের নেতৃত্ব নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন। এতে পদত্যাগের দাবি জোরালো হচ্ছে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে ঘরে-বাইরে।
এক ব্রিটিশ নাগরিক বলেন, আমি খুব হতাশ হয়েছি। আইন প্রণয়ন করে নিজেরা বাস্তবায়ন না করলে দেশের মানুষ কি করবে? যে ধরনের কাজ তিনি করেছেন তাতে জবাবদিহির আওতায় আসা উচিত। আরেকজন বলেন, তার অবশ্যই পদত্যাগ করা উচিত। এমন বিধিনিষেধ বিরোধী কাজের কোনো ভিত্তি নেই।দুবছর আগেও বরিসের জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু সম্প্রতি নানা অভিযোগে তার অবস্থা এখন নড়বড়ে।