অপরাধ

হারিছের ডিএনএ টেস্টের দাবি মেয়ের

 

বিশেষ প্রতিনিধি : বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিশ্চিত করতে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিয়া চৌধুরী দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে। তিনি বলেছেন, সাভারে দাফন করা মাহমুদুর রহমানই প্রকৃত হারিছ চৌধুরী। মৃত মাহমুদুর রহমানই তার আসল নাম পরিচয় হারিস চৌধুরী গোপন করে বসবাস করে আসছিলেন।হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে চলতি মাসে নতুন করে আলোচনা শুরু হয় । হারিছ চৌধুরী গত ১৪ বছর মাহমুদুর রহমান নাম নিয়ে ঢাকার পান্তপথে বসবাস করছিলেন।

তার মৃত্যুর পর এনিয়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হলে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিয়া চৌধুরীর দাবি করেন মাহমুদুর রহমানই আসল হারিছ চৌধুরী। পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করতে সামিয়া চৌধুরী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন।বাবার পরিচয় সম্পর্কে দ্বিধা দূর করতে কবর থেকে মৃতদেহ তুলে তার ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন বিলেত প্রবাসী ব্যারিস্টার সামিরা চৌধুরী।

চিঠিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব প্রয়াত হারিছ চৌধুরীর মেয়ে বলেন, ২০২১-এর ৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, ঢাকা, বাংলাদেশের এভারকেয়ার হাসপাতালে কোভিড ১৯-এ মারা যান। কিন্তু পরিচয় গোপন করার জন্য তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন মাহমুদুর রহমান নামে।

এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে হারিছ চৌধুরীর নামে যে ডেথ সার্টিফিকেট জারি করা হয়েছিল তাতে তার প্রকৃত নামের পরিবর্তে লেখা ছিল মাহমুদুর রহমান। মৃত্যুর পর হারিছ চৌধুরীকে জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যানের কাছে একটি মাদ্রাসায় শায়িত করা হয়, ঠিকানা- জালালবাদ, কমলাপুর, বিরুলিয়া, সাভার, ঢাকা। কিন্তু এটি সামিরা এবং তার পরিবারের স্বীকৃত কবরস্থান নয়।

সামিরা জানান, আমার প্রয়াত পিতা হারিছ চৌধুরীর আসল পরিচয়ের বিষয়টি পরিবারের পাশাপাশি বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, বাংলাদেশের আইন বিভাগ যদি ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রয়াত পিতার পরিচয় নিশ্চিত করতে চায় তাহলে আমার কোনো আপত্তি নেই।

প্রয়োজনে কবর থেকে বাবার মৃতদেহ তুলেও তারা ডিএনএ-এর নমুনা সংগ্রহ করতে পারেন। ‘Therefore, I confirm that I do not have any objection should the Bangladesh law enforcement authority now wish to make arrangements to confirm the identity of my Late father Md A Harris Chowdhury.’ সেই সঙ্গে প্রয়াত পিতার দেহাবশেষ তাদের দর্পণনগরের গ্রামে নির্দিষ্ট কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করার আবেদনও জানান সামিরা।এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র সচিব ও সিআইডি প্রধানের কাছেও একই আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

দিকে সামিরা চৌধুরীর কোনো চিঠি হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পায়নি। তবে সিআইডি বলছে, হারিছ চৌধুরী পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করাতে হলে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। শুক্রবার (১৮ মার্চ) দুপুরে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে বলে জানান, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও সিআইডির প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, চিঠিটির কথা আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। কিন্তু চিঠিটি আমাদের হাতে এখনও পৌঁছায়নি। হারিছ চৌধুরীর পরিচয় শনাক্তকরণে ডিএনএ পরীক্ষার করাতে হলে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ডিএনএ অ্যাক্টও অনুসরণ করতে হয়। এছাড়া কোনো মৃত ব্যক্তির মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন আছে। এদিকে সিআইডি জানায়, হারিছ চৌধুরীর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করলে এ ব্যাপারে সিআইডি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না।

 

সংশ্লিষ্ট খবর

Leave a Reply

Back to top button