মুসলমানদের আদি বাসিন্দা মানল আসাম সরকার
![](https://dainiksottokothaprotidin.com/wp-content/uploads/2022/04/03-1-6-780x470.jpg)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের তিন কোটি জনসংখ্যার রাজ্য আসামে ইসলাম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা প্রায় এক কোটি ২০ লাখ। তাদের মধ্যে একটি বড় অংশকেই রাজ্যের মূল অধিবাসী হিসেবে মেনে নিয়েছে আসাম সরকার। আসামে মুসলমানদের আদি বাসিন্দা ও স্বতন্ত্র স¤প্রদায় হিসেবে স্বীকৃতির সুপারিশ করেছে রাজ্য সরকার গঠিত প্যানেল। তাদের নথিভুক্ত করে আদম শুমারির পরামর্শও দেয়া হয়েছে। আর মুসলমানদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আসামে বসবাসকারী মুসলমানরা ওই অঞ্চলের বাসিন্দা, নাকি বহিরাগত তা নিয়ে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। নানা মহল থেকে ওঠে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। তবে, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকার গঠিত প্যানেলের সুপারিশ এবং এর প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির মধ্য দিয়ে আপাতত অবসান ঘটছে সে বিতর্কের। ২১ এপ্রিল আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় রাজ্য সরকার গঠিত প্যানেল। সেখানে মুসলমানদের স্বতন্ত্র সত্তা ও আসামের আদিনিবাসী স¤প্রদায় হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়। একইসাথে তাদেরকে জাতীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে আদমশুমারি সুপারিশও করা হয়েছে। সাতটি সাবকমিটি নিয়ে গঠিত প্যানেল আসামের মুসলমানদের প্রত্যেককে পরিচয়পত্র দেয়ার জন্য স্বতন্ত্র অধিদপ্তর বা কর্তৃপক্ষ গঠনের সুপারিশ করেছে। আসামের বাংলাভাষী মুসলমানদের যেন অবৈধ অভিবাসী বা বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা না হয় তা নিশ্চিত করাই এর লক্ষ্য। আসামের মুসলমানদের পাঁচটি গোষ্ঠী সৈয়দ, গোরিয়া, মোরিয়া, দেশি ও জুলহাদকে মূল নিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সুপারিশ করেছে রাজ্য সরকারের প্যানেল। সুপারিশের পর এক বিবৃতিতে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বশর্মা বলেছেন, রাজ্যের মূল নিবাসীদের মধ্যে মুসলমানরা রয়েছেন এবং তাদের অস্তিত্ব রাজ্য সরকার মেনে নিচ্ছে। মূল নিবাসী মুসলমানদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে করা এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে। এজন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হবে। তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের জন্য করা সুপারিশ বাস্তবায়নের আশ্বাসও দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, বিষয়টি নিয়ে প্রধান দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস বা মুসলমান সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী দল অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।