সিলেট সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের মাঝে ১০০ টন শুকনো খাদ্য দিচ্ছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র
![](https://dainiksottokothaprotidin.com/wp-content/uploads/2022/06/ganosasto-1-780x470.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট এবং সুনামগঞ্জে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে জরুরী ভিত্তিতে ১০০ টন শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রমশুরু করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। গত দু’দিন ধরে এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। টানা অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বৃহত্তর সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন অঞ্চল বহাবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এমতাবস্থায় সিলেট বিভাগের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দুটি উপকেন্দের মধ্যে সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার নওধার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতাল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রস ও হাসপাতালের আশে-পাশে গ্রাম গুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
এমতাবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে ঢাকা হতে ৫ টন চিড়া এবং ১ টন গুড় সিলেট বিশ্বনাথ উপজেলার নওধার গণস্বাস্থ্য কেনদ্র ও সুনামগঞ্জে জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হাসপাতালের আশে-পাশে গ্রাম গুলোর জন্য বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারেদের জন্য পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকা থেকে রওনা দেয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ২ টি মেডিকেল টিম চিকিৎসা সেবা দিবে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র আগামী কয়েকদিনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্য এলাকায় পানি না নেমে না যাওয়া পর্যন্ত ১০০ টন চিড়া ও গুড়, বন রুটি, টোস্ট বিস্কুটসহ শুকনো খাদ্য ভিতরণ করবে। পানি নেমে যাওয়ার পর গরীব দুস্থদের পূর্ণবাসনেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। পাগলা বাজার উপকেন্দ্রের সামনের মেইন রোড প্রায় ডুবু ডুবু অবস্থায় আছে, কিছু সময়ের মধ্যে রাস্তা ডুবে হাসপাতালে পানি ঢুকে যাবার সম্ভবনা রয়েছে।
বন্যায় প্লাবিত আশে পাশের গ্রামের লোকজন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা,মসজিদসহ যাদের দোতলা বাড়ি রয়েছে সেই সকল জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। তার পাশাপাশি পাগলা বাজার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালেও প্রায় ৪০০ জনের বেশী মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এবং এখনও লোকজন আশ্রয়ের জন্য হাসপাতালে আসা চলমান রয়েছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সৃষ্টিলগ্ন থেকেই বিভিন্ন দূর্যোগের সময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র চবিনামূল্যে চিকিৎসা ও খাদ্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে আসছে। বর্তমান বন্যায় পানি বন্দী মানুষের দুবেলা খাবারের ও চিকিৎসার ব্যবস্থা সেবায় জন্য কাজ করে যাচ্ছে।