জেলার খবর

বিদ্যুৎত নাাই ৪ দিন রাস্তা অবরোধ

 

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাবে গাছ উপড়ে ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে চার দিন ধরে বিদ্যুৎহীন রয়েছে তিন ইউনিয়নের গ্রাহকরা। এতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ, লাহারকান্দি ও চররুহিতা ইউনিয়নের বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে।বিদ্যুৎ সংযোগের দাবিতে গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করেছে ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দারা। বুধবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ইউনিয়নের পিয়ারাপুর এলাকায় লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কে ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা।

এতে সড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পল্লী বিদ্যুতের জিএমের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধরা অবরোধ তুলে নেয়।এর আগে ৪২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না পেয়ে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাতে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সমসেরাবাদ এলাকার বাসিন্দারা সড়ক অবরোধ করেছিল। পরে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রবিবার রাত থেকে সদরের ভবানীগঞ্জ, লাহারকান্দি ও চররুহিতা ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বুধবার রাত ৮টায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সচল হয়নি।

সড়ক অবরোধকারীরা জানায়, টানা চার দিন এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। এতে ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংসসহ খাদ্যসামগ্রী নষ্ট হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পড়তে পারছে না। পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে আছে। গত রাতে কয়েকটি এলাকায় চুরিও হয়েছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকরা তিন দিন ধরে বেকার। অনেকের ঘরে খাবারও নেই।

চররুহিতা ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন শিমুল বলেন, রবিবার রাতে আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এর পর থেকে আমরা অন্ধকারে রয়েছি। দু’দিন হয়েছে ঘূর্ণিঝড় শেষ হলো। কিন্তু এখনো বিদ্যুৎ আসেনি। মোবাইলে চার্জ নেই। কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না।

ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) জসিম উদ্দিন বলেন, পল্লী বিদ্যুতের জিএমের সঙ্গে কথা বলেছি। রাত ৯টার দিকে এসে তারা কাজ করবেন। এরপর বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। পরে অবরোধ তুলে দেওয়া হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম জাকির হোসেন বলেন, আমাদের ৩৬৫টি খুঁটি ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে গেছে। ৪৫০টি স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে। এসব মেরামত করতে অনেক জনবল প্রয়োজন। জনবলের সংকটের কারণে বিভিন্ন স্থানে কাজ করা এখনো সম্ভব হয়নি। চেষ্টা করছি খুব দ্রুত প্রত্যেকটি স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করার।

সংশ্লিষ্ট খবর

Leave a Reply

Back to top button