অপরাধআইন আদালত

সোনাচোরাচালানি ইউএস বাংলার বিমানবালা মৌসুমির ১০ বছর জেল

 

কোর্ট রিপোর্টার : অবশেষে ৪ বছর পর ইউএস বাংলার বিমানবালা রোকেয়া শেখ মৌসুমীর ১০ বছর সাজা হলো। ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ইউএস বাংলার বিমানে ওমানের মাসকাট থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন ওই বিমানের কেবিন ক্রু রোকেয়া শেখ মৌসুমী। রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাড়ে ৯ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারের মামলায় বিমানবালা রোকেয়া শেখ মৌসুমীর ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

আজ সোমবার ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে মামলার অপর তিন আসামি সোহেল খাঁ, আসাদুজ্জামান প্রকাশ ওরফে বাপ্পি ও ফরিদ হোসেন জনির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহাবুদ্দিন মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১০ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি মৌসুমীকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। অনাদায়ে তার আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মৌসুমী মামলার শুরু থেকে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। রায় ঘোষণার আগে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ইউএস বাংলার বিমানে ওমানের মাসকাট থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন কেবিন ক্রু রোকেয়া শেখ মৌসুমী। পরে তল্লাশি করে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে টেপ প্যাঁচানো ৯ কেজি ৫১২ গ্রাম ওজনের ৮২টি স্বর্ণেরবার পাওয়া যায়। উদ্ধার করা স্বর্ণের আনুমানিক বাজারদর চার কোটি ১০ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় ওইদিনই বিমানবন্দর থানার এসআই সফিকুল ইসলাম মামলাটি করেন। মামলায় মৌসুমী ২ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলাটি তদন্ত করে চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন একই থানার এসআই সফিকুল ইসলাম।২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জন সাক্ষ্য দেন। মৌসুমী নিজের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন। মৌসুমীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী সৈয়দ নাজমুল হুদা।

 

সংশ্লিষ্ট খবর

Leave a Reply

Back to top button